October 26, 2024, 2:35 am

সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ খান বিএনপি’র ভিন্ন রকম ক্যাম্পেন  শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দিলেও ক্ষতি পূরণ হবে না: সেলিম উদ্দিন। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় আ’লীগ নেতাসহ ৯ জনের সদস্যপদ বাতিল পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে অসহায় দিনমজুর সহিলের মাথা গোজার ঠাইটুকু হারিয়ে ফেলেছে খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি   খুলনা কয়রায় হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৫ পুলিশ সদস্য আহত

ঢাকা জেলার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা হতে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনার মুলহোতা ময়েজ হোসেন @পরান(২২)সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

তামান্না আক্তার হাসিঃ র‍্যাব-৪ জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি মনুষ্য অপরহরণকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা তৎপর। গত ০৮ মে ২০২৩ তারিখ বিকালে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া এলাকা হতে ভিকটিম মোঃ হৃদয় (২০) প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে বের হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ভিকটিম হৃদয় বাসায় ফেরত না আসায় আশেপাশে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজাখুঁজির পরেও ভিকটিমের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বর্ণিত ঘটনার দিন অজ্ঞাত পরিচয়ে ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে অপহরণ এবং জীবিত ফেরত পাবার শর্তে ৫০,০০,০০০/-(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ চায়। অন্যথায় ভিকটিমকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা নিরুপায় হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন এবং র‌্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করলে র‌্যাব উক্ত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে যার প্রেক্ষিতে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম এর লাশ উদ্ধারপূর্বক উক্ত অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত নিম্নবর্ণিত আসামীদ্বয়’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

ময়েজ হোসেন @পরান (২২), জেলা-মানিকগঞ্জ।মোঃ সুমন মিয়া @বাপ্পি (২৩), জেলা-বগুড়া।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় তাদের কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী ও ঘটনার মূলহোতা ময়েজ হোসেন @পরান জানায় যে, ভিকটিম হৃদয় ও আসামী পরান একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। ভিকটিম হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যাক্তি। গ্রেফতারকৃত আসামী ময়েজ হোসেন @পরান ও তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সুমন মিয়া @বাপ্পি, অপরাপর দুই জন পলাতক আসামী আকাশ এবং শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিম হৃদয়’কে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো। পূর্ব পরিকল্পনামতে গত ০৮ মে ২০২৩ তারিখ বিকেলে আসামীরা ভিকটিমকে আড্ডা দেয়ার কথা বলে সুকৌশলে পলাতক আসামী আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিম’কে জোড়পূর্বক রশি দিয়ে বেঁধে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০,০০,০০০/-(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা দাবী করে। গ্রেফতারকৃত আসামী ময়েজ হোসেন @পরান’কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে ভিকটিমের গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। অতঃপর সন্ধায় ভিকটিমের লাশ বস্তা বন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল হতে রিকসাযোগে শ্রীপুর এলাকাধীন একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। অতঃপর আসামীরা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়।

উক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন